কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৯ পিএম
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তোলা। প্রবা ফটো
বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্য সময়ের মতো নেই যাত্রীর চাপ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অন্য সময়ে সদরঘাটের যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন হাতেগোনা কিছু যাত্রী রয়েছে। তবে অবরোধের মধ্যেও যারা লঞ্চে চড়ে গন্তব্যে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
যাত্রী না পাওয়ার কারণে সকালের শিডিউলের পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেনি বলে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ।
তিনি জানান, সকাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ইমাম হাসান-৫, এমভি রহমান, সোনার তরী-২ ও বোগদাদীয়া-৮। ভোলার ইলিশার পথে ছেড়ে গেছে দোয়েল পাখি-১০, কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চ। আর বরিশালের মৃধারহাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ঝাণ্ডা-২ নামের লঞ্চ।
এছাড়া শরীয়তপুরের নড়িয়া ও হাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সুরেশ্বর-১ ও বোগদাদীয়া-৬। আর ভোলার হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় টিপু-৬ নামের লঞ্চ।
চাঁদপুরগামী যাত্রী মো. রাসেল বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে চাঁদপুর যাচ্ছি। রাস্তায় অনেক ভোগান্তি, গাড়ি নেই। আগে চাঁদপুরে কিছুক্ষণ পর পর লঞ্চ পেতাম, কিন্তু এখন পাচ্ছি না। কখন লঞ্চ ছাড়বে তার ঠিক নেই।’
এদিকে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে লঞ্চের যাত্রী কমেছে ৬০ শতাংশেরও বেশি। প্রতিটি ট্রিপে অনেক টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। লোকসান কমাতে গত ১০ আগস্ট থেকে রোটেশন পদ্ধতি চালু করে লঞ্চ মালিকরা।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, নৌপথের যাত্রা নিরাপদ রাখতে নৌ-পুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছে।
এদিকে অবরোধের আগের দিন শনিবারও সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। এদিন সদরঘাট থেকে ৬১টি লঞ্চ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পথে ছেড়ে যায়। আর অন্যান্য গন্তব্য থেকে ঢাকায় ভিড়েছে ৬৩টি লঞ্চ।
কিন্তু রোববার অবরোধের প্রথম দিনের সকালে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সদরঘাট থেকে শিডিউল অনুযায়ী অনেক লঞ্চ ছেড়ে গেলেও যাত্রী নেই বললেই চলে।