প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে রাজদানীর সায়দাবাদ টার্মিনাল দূরপাল্লার অল্প সংখ্যক বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। সায়েদাবাদের বাস-মালিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, দু-একটি বাস ছাড়লেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার বাইরে যাত্রীরা খুবই কম যাওয়া আসা করছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল অনেকটাই ফাঁকা। জনপথ মোড়ে ও কাউন্টারের সামনে যাত্রী নেই। দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার কিছু কিছু কাউন্টার খোলা রয়েছে। তাতে এক দুজন যাত্রী বসে থাকতে দেখা গেছে। এসময় সার্বিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সিডিএম পরিবহনের বাস ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া সিলেট ও অন্যান্য অঞ্চলের বাসও ছেড়েছে। তবে হানিফ, সেটমার্টিন, শ্যামলী, ইউনিকসহ দূরপাল্লার এসিবাস বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সড়কে যানবাহন কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এসব এলাকায় অবরোধের সমর্থনে কোনো মিছিল-পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের সিডিএম পরিবহনের একটি বাসের স্টাফ আমির হোসেন বলেন, ‘দুইদিন বসে ছিলাম ভাই। এখন আর পারছি না। তাই গাড়ি বের করছি। মালিক বলছে বসে বসে আর কত। এবার গাড়ি স্টানে আনো। সকাল থেকে এ পর্যন্ত একটা বাস ছেড়েছি। যাত্রী খুবই কম।’
ঢাকা কক্সবাজার রুটের সেন্টমার্টিন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সিয়াম বলেন, ‘আমাদের কাউন্টার বন্ধ। সন্ধার পরে ছাড়বে কিনা তাও জানা নেই। তাই বাধ্য হয়ে সিডিএম বাসের টিকিট কাটছি।’
বা টার্মিনাল এলাকায় হানিফ পরিবহন, ফালগুন পরিবহন, শ্যামলীসহ বেশ কিছু পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ দেখা দেখে। কিছু কাউন্টারে সাটার অর্ধেক নামানো দেকা গেছে। আর কিছু কিছু কাউন্টা খোলা থাকলেও বাস বন্ধ রয়েছে তাদের।
এরমধ্যে দোলা পরিবহনের ঢাকা পিরোজপুর রুটের এবং ঢাকা বাগের হাটের রুটের ৩টি বাস ছেড়ে গেছে। টিকেট বিক্রেতা আল আমিন বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের ৩টা বাস ছেড়ে গেছে। তবে অন্যান্য দিনে এই সময়ে আমাদের অনেক বেশি বাস ঢাকা ছেড়ে যায়।’
সার্বিক পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা শান্ত মোল্লা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সার্বিক পরিবহনের আটটি বাস ঢাকা থেকে মাদারীপুর এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।