প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৫ পিএম
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এক ছায়া সংসদে শিল্পমন্ত্রীসহ অতিথি ও বিতার্কিকরা। প্রবা ফটো
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের জন্য এখন দ্রব্যমূল্য অসহনীয় হয়ে উঠছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকায় ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির যৌথ আয়োজনে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
নূরুল মজিদ বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছেন তারা শুধু টাকা টাকা করেন। যেখানে আমাদের রেমিট্যান্সযোদ্ধারা দেশে-বিদেশি মুদ্রা পাঠাচ্ছে, সেখানে একশ্রেণির মানুষ দেশের টাকা লুট করে আমেরিকা, কানাডায় বাড়ি-গাড়ি করছেন। আমাদের অনেক উন্নয়ন হলেও মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। দেশের প্রতি ভালোবাসা, নৈতিকতা ও মমত্ববোধ থাকতে হবে। তাহলেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারব।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকারদের মতো জাতীয় পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলো যেন বোয়াল মাছ, গজার মাছের মতো সব খেয়ে ফেলতে চায়। ছোট-বড় পণ্য থেকে শুরু করে মিডিয়া, সংবাদপত্র সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে। কালোবাজারিরা সরকারের চেয়েও পাওয়ারফুল। আমাদের আমদানিনীতিতে কিছু ভুল আছে। চোরা ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ নেয়। শাস্তি দিতে গেলেই তারা নানা যুক্তি তুলে ধরে।
তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা রয়েছে। এটা অস্বীকার করা যায় না। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দ্রব্যমূল্য অনিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কেউ কেউ।
ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমানে প্রচলিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনটি সংশোধন ও সময়োপযোগী করার উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা গেলে ভালো হয়। অবৈধ মজুদদারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। তবে জেল-জরিমানা বা পুলিশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সমাধান নয়। ব্যবসায়ীদের সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধই ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এর জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে গণজাগরণ তৈরি করতে হবে।
‘ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণই ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে পারে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।