প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১১ পিএম
গ্রেপ্তার আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৫ সদস্য। সংগৃহীত ছবি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তাররা হলেন—স্বপন হাওলাদার, মাসুদ হাওলাদার, রাকিব সরদার, রিপন মৃধা, আকাশ, রুবেল সরদার, রাজন মিয়া, ফারুক খান, হেলাল বেপারি, রেজাউল, রনি কাজী, টিপু হাওলাদার, সোহেল, মামুন সিকদার, রাজিব হোসেন।
পুলিশ জানায়, চক্রটি রাতের অন্ধকারে নির্জন, ফাঁকা ও রাস্তার পাশে জঙ্গল আছে এমন জায়গায় গাছ কেটে রাস্তা ব্লক করে মোটরসাইকেল আরোহী, অটোরিকশাচালক, পিকআপচালক, যাত্রী ও পথচারীদের সর্বস্ব লুটে নিত।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ’১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় অটোচালক সুন্দর আলী আব্দুল্লাহপুর স্ট্যান্ড থেকে তার পরিচিত যাত্রী হাফেজ মো. নুরুল ইসলামকে নিয়ে চরগুলগুলিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের রিকশাটি বাহাদুর ভিটার সামনে পৌঁছলে তারা দেখতে পান, রাস্তার ওপর গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে একদল ডাকাত। ডাকাত দলটি সুন্দর আলীসহ তার গাড়িতে থাকা নুরুল ইসলামকে গলায় রামদা ও ছেনদা ধরে রাস্তার ওপর থেকে রাস্তার নিচে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে তারা সুন্দর আলীর সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও হাফেজ নুরুল ইসলামের কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত দল তাদের হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় বিলের মধ্যে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।‘
তিনি বলেন, ’সুন্দর আলী ও হাফেজ নুরুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর যাত্রী হাফেজ মো. নুরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা করেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ’পরে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামানের দিকনির্দেশনায় একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে চক্রের সন্ধান পায়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আটিবাজার, জিনজিরা, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগসহ ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।