প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪৮ এএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৪৯ এএম
বর্ষা খাতুন
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কাজীপাড়ায় বর্ষা খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বর্ষার স্বামী বলছেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে পরিবারের দাবি, বর্ষাকে হত্যা করে ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ষার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বর্ষা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আর তার স্বামী কাজ করেন সেখানকার একটি দোকানে। তারা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে কাজীপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বর্ষার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদর কাশিমপুর বারান্ডায়।
বর্ষার স্বামী কাজল মিয়া বলেন, গতকাল পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে চলে যান। রাতে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি। পরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছেন। অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বর্ষার বড় বোন শান্তা বেগম এটাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার বোন কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি দাবি করেন, বিয়ের পর থেকে নানান বিষয় নিয়ে দোষ ধরে বর্ষাকে মারধর করতেন স্বামী কাজল মিয়া।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকায় বর্ষার স্বামীকে পুলিশ ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’