প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪১ পিএম
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শনে যান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। প্রবা ফটো
জাতীয়
পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশে এখন আর দুর্ঘটনাকে
দুর্ঘটনা বলা যায় না। দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। প্রতিদিন আগুন
লাগছে, সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে মানুষের জীবন যাচ্ছে। দেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের জীবন যাচ্ছে দুর্ঘটনায়।
অগ্নিকাণ্ডে
ক্ষতিগ্রস্থ মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা
১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম
কাদের বলেন, দুর্ঘটনা রোধের কোনো বন্দোবস্ত নেই। দেশের শাসন ব্যবস্থায় গলদের কারণেই
দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। এ কারণেই কেউ সঠিকভাবে কাজ করছে না। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে
শুধুই আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকতে হয়। দুর্ঘটনা রোধে সরকারের যেনো কোনো দায়িত্ব নেই।
সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ।
তিনি
আরও বলেন, ২৫০ এর বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুঁজি হারিয়ে অনেক দোকান মালিক নিঃস্ব
হয়ে গেছে। কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন
বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এরই মধ্যে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্ঘটনা যেনো
না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে যেনো অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন
ব্যবস্থাও নেই। অগ্নিনির্বাপণে পানির ব্যবস্থাও নেই। মানুষের বাসার ট্যাঙ্ক থেকে পানি
নিতে হচ্ছে। এমন অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠতে পারে না।
জাতীয়
পার্টি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, সরকারের দায়িত্ব
ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা। তাৎক্ষনিকভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতে
সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল
ইসলাম সেন্টু, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, জাতীয়
পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাতীয় পার্টি মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি
রফিকুল আলম সেলিম, আদাবর থানার সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
বুধবার
দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার
সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে। আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার
সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা
হয়।
আগুনে পুড়ে ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রাজা। এ দিকে ডিএনসিসি কর্মকর্তা দুই শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্তের কথা জানালেও ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে মার্কেটের অন্তত ৫০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।