প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪৪ এএম
শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এবং আইইডিসিআরের ল্যাব টেস্টে মার্শালের সরবরাহ করা পণ্যটি বিটিআই বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারি এ দুই সংস্থার ল্যাব টেস্টে বিটিআইয়ের কার্যকারিতাও সন্তোষজনক। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিটিআই ব্যবহার করা হবে কি না সে বিষয়ে দ্রুত মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পিপিআরের শর্তানুযায়ী পণ্যটি সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করার পক্ষে যথাযথ কাগজ (প্রমাণপত্র) হাজির করতে না পারার কারণে মার্শালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, ‘আজ পিপিডব্লিউ (প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইং) এবং আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। তাদের পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে আমদানি করা কীটনাশক বিটিআই এবং কার্যকর। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের পরীক্ষায় এবং ডিএনসিসির আট সদস্য বিশিষ্ট মূল্যায়ন কমিটির পরীক্ষায়ও এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।‘
মেয়র বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ জৈব কীটনাশক বিটিআই ব্যবহার করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। আমরাও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিটিআই আমদানির সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম। প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য ৫ টন আমদানি করি। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরপরই জানতে পারি বিটিআইয়ের মোড়কে উল্লিখিত সিঙ্গাপুর থেকে আমদানির তথ্য সঠিক নয়। কীটনাশকটি সঠিক ও কার্যকর হলেও ভুল তথ্য দিয়ে মার্শাল যে প্রতারণা করেছে তার জন্য আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আমি কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মকে ছাড় দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি বিটিআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক কীটতত্ত্ববিদ অনেক কথা বলছেন। এও শুনেছি অনেক কীটতত্ত্ববিদ নিজেরাই বিটিআই সরবরাহের ব্যবসা করতে চান। তারা নানান ধরনের কথা বলছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক কথা ছড়ানো হচ্ছে। আসলে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছি, করে যাব। স্পষ্ট বলতে চাই—আমি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একটি মহৎ উদ্দেশ্যে বিটিআই আমদানি করেছি। এখানে কারও কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’