প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:১৭ পিএম
কর্মশালায় বক্তব্য দিচ্ছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। প্রবা ফটো
সরকার
এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধান্য
দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বৃহস্পতিবার
(১৭ আগস্ট) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)
গোল-৫ এর এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের
সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন
নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক)
মো. আখতার হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী
ইন্দিরা বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা অর্জন, সকল নারী ও মেয়ে শিশুদের
ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি-৫ অর্জনে প্রধান্য দিয়েছেন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী
পরিকল্পনায় জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি-৫ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য
২০৩০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি গোল-৫ অর্জন করা।
তিনি
আরও বলেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা কৌশলসমূহের সঙ্গে এসডিজির সমন্বয় সাধন করা হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার মাধ্যমে এসডিজি অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতিসংঘ থেকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী
বলেন, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা
নিশ্চিত, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা
জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না নিশ্চিত
করেছে।
মো.
আখতার হোসেন বলেন, এসডিজি অর্থ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সুদক্ষ দেশ পরিচালনা এবং এসডিজির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম
আয়ের দেশে পরিণত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সচিব
নাজমা মোবারেক বলেন, এসডিজি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। সরকার এসডিজির সঙ্গে পঞ্চবার্ষিকী,
দীর্ঘ, মধ্যম ও বার্ষিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করেছে। সকল মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত কাজের
মাধ্যমে ২০৩০ এসডিজির সকল গোল অর্জিত হবে।