মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩ ২১:২৯ পিএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪২ পিএম
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন শিক্ষকরা। প্রবা ফটো
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২১ দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। কিন্তু এখনও দাবি আদায় না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার (৩১ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষকরা এ ঘোষণা দেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ডাকে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দফায় দফায় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও কোনো ফল আসেনি। এ পরিস্থিতিতে তারা সোমবারের মধ্যে জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সাক্ষাৎ চান শিক্ষকরা।
বিটিএর সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেন, ’আমাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করতে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ চেয়েছিলাম। কিন্তু সাক্ষাৎ না পাওয়ায় আজ থেকে কাফনের কাপড় পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করব।’
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। বেলা গড়াতেই পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলার ব্যানারে দলে দলে স্লোগান দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন শিক্ষকরা। অন্য দিনের তুলনায় সোমবার শিক্ষিকাদের সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি ছিল।
অবস্থানরত শিক্ষকরা বলছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের থেকে এক ধাপ নিচে বেতন দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা স্মার্ট করতে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষক। তাই স্মার্ট শিক্ষক পেতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের বিকল্প নেই।’