দুই দলের সমাবেশ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৩ পিএম
সদরঘাটে বিএনপির মহাসমাবেশে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রবা ফটো
রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সদরঘাট এলাকায় খেয়া পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের যাত্রীরা। নৌকার মাঝিরা বলছেন, পুলিশ খেয়া পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বাহিনীটি তা অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে সদরঘাট এলাকার খেয়াঘাটগুলোতে দেখা যায় নিরবতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্য দিনে সকাল থেকেই খেয়াঘাটগুলোতে মাঝিদের হাঁকডাক থাকলেও আজ দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকাল থেকে খেয়া চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় মাঝিরাও ঘাটে নৌকা বেঁধে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। খেয়া চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দুইপারের যাত্রীরা।
যাত্রীরা নদী পার হতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। কেরানীগঞ্জ থেকে সদরঘাট এলাকায়ও খেয়া নৌকায় আসতে পারছেন না যাত্রীরা। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার দূরের বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে নদী পার হতে হচ্ছে তাদের। তবে এই ব্রিজ পার হতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। পুলিশের তল্লাশির কারণে হেঁটেই ব্রিজ পার হতে হচ্ছে।
খেয়া মাঝি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকালেও পুলিশ খেয়া চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে খোলা থাকলেও বিকাল থেকে পুলিশ আবার বন্ধ করে দিয়েছে। নৌকা বেঁধে বসে আছি। নৌকা চালাইতে গেলে পুলিশের লোকজন এসে ঝামেলা করে। ঘাটে যাত্রী নিয়ে ভিড়তে দেওয়া হয় না।’
আনার উদ্দিন নামের আরেক খেয়া মাঝি বলেন, ‘খেয়া চলাচল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশ বলে গেছে। বিএনপির সমাবেশের জন্য নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সারা দিন এভাবে বসে থাকতে হবে। আর তো কিছু করার নাই।’
আসলাম শেখ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি কাজে আমাকে ওইপাড়ে যেতে হচ্ছে। ঘাটে এসে দেখি নৌকা চলছেনা। গতকাল থেকেই নাকি বন্ধ। এভাবে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিলে আমরা সাধারণ যাত্রীরাই বার বার ভোগান্তিতে পড়ি। এখন নদী পার হতে গেলে আমাকে আবার অনেক রাস্তা ঘুরে ব্রিজ দিয়ে যেতে হবে।
মাসুদ আলম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে এইপাড় থেকে মালামাল কিনে নিয়ে ওইপাড়ে বিক্রি করি। সকালে অনেক কষ্টে এক মাঝিকে রাজি করিয়ে এইপাড়ে আসছি। এখন ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে ব্রিজ দিয়ে যেতে হবে। অল্প টাকার ব্যবসায় বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে। নৌকা চালু থাকলে এটা হতোনা।’
মোজাফফর নামের এক পথচারী বলেন, ‘প্রতিদিন নৌকা দিয়েই কেরাণিগঞ্জ থেকে সদরঘাট আসি। খেয়া বন্ধ থাকায় আজ আসতে হলো বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে। রিকশা নিয়েছিলাম ব্রিজ পার হওয়ার জন্য পুলিশ রিকশা আসতে দেয়না। তাই হেঁটেই আসলাম।’
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘খেয়া চলাচল বন্ধের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। পুলশের পক্ষ থেকে কাউকে খেয়া পারাপার বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি। মাঝিরা কেন বন্ধ রেখেছে তা আমরা জানি না।’