বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২০:১০ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় ওয়াইজঘাটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। প্রবা ফটো
সদরঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবারের (২৭ জুলাই) বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ খেয়া পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাঝিরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টার পর থেকেই সদরঘাটে খেয়া পারাপার কমতে শুরু করে। সন্ধ্যায় একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যান্য দিন বিকাল থেকে বুড়িগঙ্গায় সবচেয়ে বেশি খেয়া চলাচল করলেও আজ দেখা গেছে উল্টো চিত্র। বিকাল ৫টার পর থেকেই নৌকা চালানো বন্ধ করে ঘাটে বাঁধতে শুরু করেন মাঝিরা। সন্ধ্যার দিকে চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দুই পাড়ের যাত্রীরা।
নদী পার হতে না পেরে যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা গেছে। কেরানীগঞ্জ থেকে সদরঘাট এলাকায়ও খেয়ায় আসতে পারছেন না যাত্রীরা। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার দূরের বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে নদী পার হতে হচ্ছে।
ওয়াইজ ঘাট এলাকার মাঝি মোখলেস উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সারা দিন তো নৌকা চালাইছি। বিকালে পুলিশ এসে বলে গেছে সন্ধ্যার মধ্যে বন্ধ করে দিতে। তাই ঘাটে নৌকা বেঁধে এখন চলে যাচ্ছি। কাল নাকি বিএনপির সমাবেশ আছে, সেজন্য বন্ধ করে দিতে বলছে। আগামীকালও বন্ধ থাকবে মনে হয়।’
শাহিনুর ইসলাম নামের আরেক মাঝি বলেন, ’পুলিশ ঘাটে এসে বলে গেছে সন্ধ্যার মধ্যে সব খেয়া চলাচল বন্ধ রাখার জন্য। সেজন্য নৌকা চালানো বন্ধ করে দিতে হলো। সন্ধ্যার দিকেই যাত্রী বেশি হয়। মানুষজন অফিস-আদালত শেষ করে বাড়ি ফেরে। এখন তাদের নদী পার হতেও কষ্ট হবে। আমাদেরও তো আয় হয় এই সময়েই। সারা দিন তো তেমন যাত্রী থাকে না।’
সুমন রানা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সকালে নৌকা দিয়েই কেরানীগঞ্জ থেকে এই পাড়ে আসলাম। এখন ঘাটে এসে দেখি নৌকা বন্ধ। এখন বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে হেঁটে পার হতে হবে। এ ছাড়া তো আর উপায় নেই।‘
হাসান মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ’দোকানের জন্য মালামাল নিতে বিকালেই আসলাম খেয়া দিয়ে। এখন মালামাল নিয়ে ঘাটে এসে দেখি খেয়া বন্ধ করে দিছে। এখন আবার দ্বিগুণ টাকা খরচ করে ভ্যানে মালামাল নিয়ে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে পার হতে হবে।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘এটা মাঝিদের ব্যাপার। খেয়া পারাপার বন্ধ রাখা না রাখার ব্যাপারে তারা অনেক কিছু বলতেই পারে। আমরা এসব বিষয়ে কিছু জানি না। পুলিশের পক্ষ থেকে খেয়া চলাচল বন্ধ রাখার জন্য তাদের কিছু বলা হয়নি।’