প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩ ২০:৫০ পিএম
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষকরা শুক্রবারও (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে টানা ১১ দিন তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ চান। এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়েই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে আশা করছেন তারা।
শিক্ষকরা বলেন, যতই বাধা আসুক, জাতীয়করণ ছাড়া তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শিক্ষকদের প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে শিক্ষকদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এদিন উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও অবস্থানের কারণে কদম ফোয়ারা থেকে প্রেস ক্লাবমুখী একপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিগত দিনগুলোর মতোই থেমে থেমে স্লোগান, বক্তৃতাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
বিটিএ সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সমান বৈষম্য।
তাছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
অধ্যক্ষ বজলুর রহমান বলেন, এটা আমাদের রুজি-রুটির কথা। সরকার থেকে একাধিকবার সমাধানের কথা বললেও কোনো সমাধানে আসেনি। এজন্য আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরব না। যতই বাধা আসুক না কেন; আন্দোলন চলছে, চলবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, এখনই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। অন্যথায় আমরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাব।