হিরো আলমের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ২ জন

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, মানিক ও আল আমিন। এ নিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) কেএনরায় নিয়তি। 

তিনি জানান, দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানার পুলিশ। 

উপনির্বাচনের দিন (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। নিজেকে বাঁচাতে হিরো আলম দৌড়ে পালান। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট থেকে ৫-৬ জন সহযোগীসহ তিনি বের হয়ে আসার সময় ১৫-২০ জন তার গতিরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকে।

মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

এজাহারে আরও বলা হয়, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করা হয়।

হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত। 

অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন।