বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত করেছে নৌ-পুলিশ। প্রবা ফটো
বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে নৌ-পুলিশ। এ দুর্ঘটনায় সাতজনকে জীবিত ও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ‘নিখোঁজ’ সাইমুনের অপেক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা। পরিবারের পক্ষ থেকে তার সন্ধান দাবি করা হলেও কোনো যাত্রী নিখোঁজের তথ্য নেই বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে নৌ-পুলিশ।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান উদ্ধার অভিযান সমাপ্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ’ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি সোমবার সকালে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় সাতজনকে জীবিত ও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
নিহতরা হলেন—কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার বাসিন্দা মো. আলিফ, দোহারের জয়পাড়ার মো. ফাহিম ও নুরুল আফসার।
নিখোঁজ সাইমুনের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। দীর্ঘক্ষণ অভিযান চালানো হয়েছে। রাতের পর আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
সাইমুনের মা ফারজানা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে এখনও খুঁজে পাইনি। আমাদের বলা হয়েছিল উদ্ধার অভিযান চালু থাকবে। এখন শুনি উদ্ধারকাজ শেষ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের মুখটা একবার দেখতে চাই।’
বাল্কহেডের ছয় কর্মচারী আটক
ওয়াটার বাসকে ধাক্কা দেওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের ছয় কর্মচারীকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদরঘাট নৌ-থানার ওসি শফিকুর রহমান খান জানান, ওয়াটার বাসটিকে ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের ছয় কর্মচারীকে রবিবার রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আটকরা হলেন—বাল্কহেডের মাস্টার মো. শরিফুল ইসলাম, চালক মো. আনছার আলী, সুকানি মো. সজীব সরদার, লস্কর মো. সিয়াম বেপারি, মো. সফিউল গাজী ও বাবুর্চি মো. মাসুদ মুন্সি।
রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ ওয়াটার বাস ডুবে যায়। উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ এবং সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করে। ঘটনার পর রাত ৯টার থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের স্থানীয় ডুবুরি ইউনিটসহ নৌ-পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন।