প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
প্রেসক্লাবে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আয়োজিত জাতীয় সেমিনার। প্রবা ফটো
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ, পাঠ্যক্রম সংশোধন, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, শিক্ষায় সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং বৈষম্য দূরীকরণসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
তারা বলেন, সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বেতন-ভাতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পরও প্রায় ৯ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক বিনা বেতনে বহুবছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংগঠনের সভাপতি ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানের পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমান আল ইসলাহ বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা হুসামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা রক্ষার্থে ইবতেদায়ি স্তরকে জাতীয়করণ করতে হবে। অবিলম্বে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোর সব সমস্যা সমাধান করতে হবে।
নতুন করে ইবতেদায়ি মাদরাসা মঞ্জুরি দেওয়ার ব্যাপারে বক্তারা বলেন, আর কোনো ইবতেদায়ি মাদরাসা মঞ্জুরি না দিতে ২০০৮ সালে নেওয়া সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে বাদ পড়া ও নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত সব স্বতন্ত্র ইবতেদারি মাদ্রাসা সহজভাবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, পীর-মাশায়েখ, উলামা এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক সংগঠনের সারা দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: মাদ্রাসার ইবতেদায়ি স্তরকে জাতীয়করণের পদক্ষেপ নেওয়া, ২০১৯ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত ইবতেদায়ী নীতিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা, দেশের ৯১ শতাংশ মুসলিম ও ৭ শতাংশ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী তথা শতভাগ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের মানসিকতা গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রম সংশোধন করা ইত্যাদি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ী স্তরের জন্য অবকাঠামো ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিতেরও দাবি জানান বক্তারা।