প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩ ২২:৫১ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৮ এএম
ছবি : সংগৃহীত
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (৭ জুলাই) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই দাবি জানানো হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সভায় বলা হয়, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আবারও এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর অব্যাহত হামলাকে আরও জোরদার করতে পারে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে পারে।
সংগঠনের তিন সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও’র পর্যায়ক্রমিক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, অঙ্গসংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ৭৪টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন।
সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ১৫ সেপ্টেম্বর, সিলেট বিভাগে ১৬ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ২২ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিভাগের সকল জেলা-উপজেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন এবং বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত গণসমাবেশের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঢাকায় ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৪৮ ঘণ্টার কেন্দ্রীয় গণঅনশন ও গণসমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাসহ মহাসমাবেশের আয়োজন করবে সংগঠনটি।
সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ক নেতারা আগামী ১৪ আগস্টের পর তাদের দাবি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনাও করবেন তারা। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়টিও পরিকল্পনায় রয়েছে তাদের।
শুক্রবারের ওই সভার প্রস্তাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নির্বাচনের সব পর্যায়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন, নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা, নির্বাচনী প্রচারণায় সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিদ্বেষ না ছড়ানো এবং সবার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি পেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।