বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩ ১২:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম
পশুর হাটে কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে শেকৃবির শিক্ষার্থীরা।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার ২২টি কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ৪৫ জন শিক্ষার্থী।
কোরবানির হাটে প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিমগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ৪৫ জন হবু ভেটেরিনারিয়ান।
২৮ জুন পর্যন্ত হাটগুলোতে চলবে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাস্থ কোরবানির হাটে আগত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ অন্যান্য প্রাণীর জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২২টি মেডিকেল ভেটেরিনারি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন ভেটেরিনারিয়ানের নেতৃত্বে গঠিত প্রতিটি ভেটারিনারি মেডিকেল টিমে ২-৩ জন ইন্টার্ন ভেটেরিনারি চিকিৎসকসহ ৩ জন সহায়ক কাজ করবে।
সারা দেশে ১ হাজার ৬৯৭টি ভেটারিনারি মেডিকেল টিম কোরবানির হাটে আসা প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকবে।
রবিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘কোরবানির পশুরহাট মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন সভায়’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
মূল প্রবন্ধে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের দায়িত্ব, কর্তব্য ও কার্যপরিধি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত স্মার্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারই ধারাবাহিকতার প্রতিফলন হচ্ছে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম।
ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমে যুক্ত হয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে গতিশীল করায় শেকৃবি শিক্ষার্থীদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, কোরবানির হাটে প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে যুক্ত থেকে হবু ভেটেরিনারিয়ানরা একদিকে যেমন অবলা প্রাণীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে, অন্যদিকে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবে, যা ভবিষ্যতে তাকে একজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান হতে সাহায্য করবে।
এবার দেশে ১ কোটি ৪ লাখ কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু মজুদ আছে।