প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৩ ১৩:৩১ পিএম
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিডিপির আয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনোয়োগ আলোচনা সভা। প্রবা ফটো
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ নেই বলে উঠে এসেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিডিপি) এক গবেষণা জরিপে।
রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিডিপির আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনোয়োগ : স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার গবেষণা জরিপে এসব তথ্য জানানো হয়। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিডিপির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের গড়ে ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলে ২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রয়েছে।এ ছাড়া গবেষণা জরিপে ৩০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ে ৫টির কম শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটির বেশি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে এবং বাকি আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটি করে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।
সিডিপির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সিপিডি সম্প্রতি গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও এবং নীলফামারী জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার ওপরে তিনটি সামাজিক নিরীক্ষা পরিচালনা করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের ৪০৮ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গত পাঁচ বছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বাজেট কমানো হয়েছে বলে গবেষণা জরিপে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৪.৫৬ শতাংশে।
এ ছাড়া মোট সরকারি ব্যয়ের একটি অংশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ হয়েছে।
গবেষাণা জরিপে আরও দেখা যায়, এই ৫ বছরে জিডিপির তুলনায়ও বরাদ্দ কমেছে। এই মন্ত্রণালয়ে জিডিপির তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল দশমিক ৯৫ শতাংশ। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিডিপির অংশ হিসাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ছিল দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫৯ শতাংশ।