প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩ ১৯:২৭ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৩ ২০:১১ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়, কারণ প্রকল্প শেষ হলে পুনরায় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
তাই মাদারীপুরের চরমুগুরিয়াসহ যেসব এলাকায় বানর বা অন্য বন্যপ্রাণীর নিয়মিত খাদ্য প্রয়োজন, সেখানে বেশি বেশি করে বন্যপ্রাণীর খাবার উপযোগী ফলের গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বন বিভাগের প্রতি ভার্চুয়ালি এ নির্দেশ দেন তিনি।
'মাদারীপুর জেলার আওতায় বিদ্যমান চরমুগুরিয়া ইকোপার্কের আধুনিকায়ন' শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘হাওর এলাকায় পুকুর ও বিল পুনঃখননকাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি ও ইকোপার্ক, কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন এবং সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ গুণগতমান বজায় রেখে করতে হবে।’
মন্ত্রী এ সময় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নীলফামারীর জলঢাকা, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভালুকার হবিরবাড়ীতে ইকোপার্ক নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের প্রতি নির্দেশনা দেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর পূর্বে মন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এতে ৯০০ উপকারভোগী কৃষকের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে।