ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি অব্যাহত

বায়ুমানে রাজধানী ঢাকার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় বায়ুমানের স্কোর ৯৮ নিয়ে ১২তম স্থানে ছিল ঢাকা।

শুক্রবার ৯৫ স্কোর নিয়ে ১১তম স্থানে ছিল ঢাকা। গত কয়েক দিন রাজধানীতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (আইকিউএয়ার) অনুযায়ী, বায়ুমানের স্কোর ১৭১ নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চিলির শান্তিয়াগো। ১৬৫ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ দ্বিতীয় ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের করাচি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। তিনটি শহরের বায়ুমানই অস্বাস্থ্যকর।

নির্মল বায়ুর শহরের তালিকায় শূন্য স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান কানাডার বেনকোভার বিসির। স্কোর ৪ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও কসোভোর প্রিস্টিনা, কলম্বিয়ার বগোটা দ্বিতীয় ও ৮ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

একিউআই বায়ুর মানসূচকে ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। আর ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বায়ুর গুণমান এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাখাওয়াত হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সামগ্রিক বায়ুর গুণমান উন্নত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে ‘ক্লিন এয়ার প্ল্যান ২০৩৫’ নামে পরিচিত একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত। এ পরিকল্পনাটি একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে বায়ুর গুণমান উন্নত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।

এটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে, বর্তমান কৌশলগুলোকে মোকাবিলা করবে এবং বাংলাদেশে জাতীয় বায়ুমানের মান মেনে চলার সময় বায়ুর গুণমানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের প্রস্তাব করবে।