প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩ ২০:২০ পিএম
চক্রের হোতা মো. শাহজাহান ও ট্রাকচালক মো. আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নানা কৌশলে ট্রাকে করে ইয়াবা আনতো মাদক কারবারি চক্রটি। টেকনাফ থেকে প্রতি চালানে ইয়াবা আনতে ট্রাক চালককে দেওয়া হতো লাখ টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হতো উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। কারবারিদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিতে চক্রের প্রধান ভরসা কয়েকজন নারী সদস্য।
চক্রের হোতা মো. শাহজাহান ও তার সহযোগী ট্রাকচালক মো. আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২৫ হাজার ইয়াবা ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর গোপীবাগ থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ট্রাকচালক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াবাগুলো সে ট্রাকের অতিরিক্ত চাকায় রেখে পরিবহন করছিল। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ১৫ হাজার ইয়াবাসহ উত্তরাঞ্চলে ইয়াবা সরবারহের মূল সমন্বয়কারী শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহজাহান টেকনাফের বিভিন্ন ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলমগীরের মাধ্যমে নিজ বাসায় ইয়াবা মজুত করতো। পরে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো নারী পাচারকারীদের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দিতেন।’
রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্রাকচালক আলমগীরের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় ইয়াবা পৌঁছে দিতেন তিনি। এ জন্য প্রতি চালানে সে এক থেকে দুই লাখ টাকা পেতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানিয়েছেন, তার নামে দুটি মাদক মামলা রয়েছে।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাস ও ট্রাকে ইয়াবা পরিবহনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, বাস ও ট্রাক মালিকদের সঙ্গে বসে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ করার জন্য। পাশাপাশি ডিএনসিও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। এ চক্রে নারী সদস্য কারা, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
শাহজাহান ও ট্রাকচালক আলমগীরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছে ডিএনসি।