প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সংস্কৃতি খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, তাকে অপ্রতুল আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে শনিবার (৩ জুন) বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে এসে তারা বলেন, জাতির নানা সংকটে সংস্কৃতিকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতকে বরাবরই উপেক্ষা করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৩৭ কোটি টাকা বেশি। শতকরা হিসেবে এবারের বাজেটের শূন্য দশমিক শূন্য ৯১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে সংস্কৃতি খাতে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ বলেন, সংস্কৃতির বাজেট নিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সংস্কৃতিকর্মীদের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি সংস্কৃতির বাইরের কজন লোককে দিয়ে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করতে চান। সংস্কৃতির কোন খাতে কী পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন, সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। আগামী এক বছর আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে চোখ রাখব। পরে তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করবো।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, জাতি যখন সংকটে পড়ে তখন তারা সংস্কৃতির কাছে ফিরে আসে। সংস্কৃতিকর্মীরাও জাতির সব সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা সত্ত্বেও সংস্কৃতি খাতে বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৯১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাবরের মতো জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাত সবচেয়ে উপেক্ষিত রয়ে গেলো।
সমাবেশে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনু হক, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট প্রমুখ বক্তব্য দেন।