প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ২৩:৪৮ পিএম
এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন মতিউর রহমান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। শনিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম মূসার ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংগঠনটি। স্মারক বক্তৃতা দেন কবি-প্রাবন্ধিক-সাংবাদিক আবুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক গোলাম রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাসান হাফিজ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, এবিএম মূসার কনিষ্ঠ কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মূসা।
স্মারক বক্তৃতায় আবুল মোমেন বলেন, এবিএম মূসা, ফয়েজ আহমদ ও আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী—এই তিনজন সাংবাদিকের সঙ্গেই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁদের কেউ কেউ তাঁর (বঙ্গবন্ধু) বা তাঁর মাধ্যমে সরকারের আনুকূল্যও পেয়েছেন। কিন্তু যখনই প্রয়োজন বোধ করেছেন, তখনই তাঁরা সরকারের সমালোচনায় পিছপা হননি। এবিএম মূসা বরাবর প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় সাংবাদিকের ভূমিকা পালনে সচেষ্ট ছিলেন; বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সত্তরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন, নতুন সংবিধানের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত তিয়াত্তরের নির্বাচনেও বিজয়ী হন। কিন্তু রাজনীতিতে থিতু হননি, ফিরেছেন সাংবাদিকতায়। তবে সব ক্ষেত্রে একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের কাছে প্রত্যাশিত স্বাধীন মতামত লালন করেছেন এবিএম মূসা।
অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, ‘মূসা ভাই নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হতেন। তিনি যতটা না বলতে পারতেন তার চেয়ে লিখতেন অনেক বেশি।’
অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। একই সঙ্গে কিছুটা চিন্তিতও বটে। চিন্তিত এই কারণে যে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। মূসা ভাই একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি সত্যের সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপস করেননি।’
মুক্ত সমাজ না থাকলে মুক্ত সাংবাদিকতা হয় না বলে মন্তব্য করেন মতিউর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের হাত কেউ বেঁধে দেয় না, আমরাই বেঁধে ফেলি রাজনৈতিক কারণে। আসুন, আমরা রাজনীতি বাদ দিয়ে, রাজনীতিকে অন্য জায়গায় রেখে সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। তাহলেই সমাজ মুক্ত হবে এবং মুক্ত সাংবাদিকতা হবে।’