প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
নগর ভবন। ছবি সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করাসহ প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষার দাবিতে রবিবার (২১ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এজন্য সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্ত্বরে জমায়েত শেষে বেলা ১১টায় নগরভবন অভিমুখে যাত্রা করবে প্রতিবাদকারীরা।
প্রতিবছর ২২ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস। প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের আগের দিন এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২০ মে) বিকেল ৫টায় ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সামনের চত্ত্বরে ‘গাছের জন্য নগর ভবন ঘেরাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমিরুল রাজিব।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন মুরশিদ, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ নূর, যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা লিটন নন্দী, আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছাত্রনেতা আদৃতা রায়। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গ্রিন ভয়েজের সমন্বয়ক আলমগীর কবির।
সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো, ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কসহ ঢাকার পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে; সড়কের গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্র্যময় দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা লাগাতে হবে; জনগণের করের টাকায় একবার গাছ লাগানো এবং আরেকবার গাছ কেটে আবার গাছ লাগানোর নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে গাছ-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে ও নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবাসীবান্ধব সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
আমিরুল রাজিব বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ডিএসসিসি স্বীকার করেছে ৩০টি গাছ বাদে তারা সাতমসজিদ সড়কের সব গাছ কেটে ফেলেছে। ঘটনাটিকে তারা ‘দুঃখজনক’ বলেও স্বীকার করেছে। গাছ কাটা বন্ধ এবং কাটা গাছের স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণের দাবিতে গত জানুয়ারি থেকে আমাদের আন্দোলন চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৯ মে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, সড়ক বিভাজকে তারা রঙ্গন, কামিনী, বাগানবিলাস, চন্দ্রপ্রভা ও কাঞ্চন ফুলের প্রায় ১৫০০টি গাছের চারা রোপণ করবে। ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক বিভাজকে গাছ লাগাতে সিটি কর্পোরেশনের আবার ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে।’