পে-স্কেল ও মহার্ঘ্য ভাতাসহ ১১ দাবি সরকারি কর্মচারীদের

নবম পে-স্কেল ঘোষণা ও মহার্ঘ্য ভাতাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারীরা। 

শুক্রবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণার জন্য পে-কমিশন গঠন এবং নবম পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করা। 

তার আগে জীবন যাত্রার মান ও আয় ব্যয়-ব্যয়ের সংগতি সামঞ্জস্য রাখতে ৪০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-তে বিলুপ্ত ৮, ১২ ও ১৫ বছরে টাইমস্কেল, ৪/৫ বছরে সিলেকশন গ্রেড, বেতন সমতাকরণ, ইবিক্রস, অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট এবং বিশেষ গ্রেড আগের মতো বহাল। 

এ ছাড়া দাবি জানানো হয়, দ্রুত সময়ে সচিবালয়ের সব দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের সচিবালয়ের ন্যায় পদ ও গ্রেড পরিবর্তন করা। বর্তমান ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি গ্রেড বাস্তবায়ন করা। বিদ্যমান ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের শতভাগ ও রেশন ব্যবস্থা চালু করা। 

১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনাসুদে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়া। ব্লক পদে পদোন্নতির সুযোগ দিয়ে সব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধি একমুখীকরণ ও কমন নিয়োগবিধিতে পদ সংখ্যা বৃদ্ধিসহ কমন পদে আন্তঃদপ্তর বদলি চালু করা। 

শতভাগ পেনশন সমর্পন পূর্বের ন্যায় বহাল, পেনশনযোগ্য চাকরিকালে বর্তমানে প্রচলিত ৫ থেকে ২৫ এর স্থলে ৫ থেকে ২০ বছর এবং পেনশন হার সর্বশেষ আহরিত বেতনের ৯০ শতাংশ এর জায়গায় শতভাগ উন্নীত করাসহ আনুতোষিক ১ টাকায় ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা।

 ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সংস্থা, করপোরেশনের ঝুঁকি ভাতা চালু করা। চিকিৎসা, শিক্ষা, টিফিন ও যাতায়াত ভাতা বাস্তব সম্মতভাবে পুনঃনির্ধারণ করা। আউটসোর্সিং নিয়োগ বিলুপ্তসহ কর্মরতদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পে সাকুল্য বেতন ভোগীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারি কমর্চারী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিন্টু লাল চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মাঝে বৈষম্য চলছে। এই বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে বৈষম্যমুক্ত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য।’

তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পে-স্কেলের মেয়াদ সাত বছরের বেশি হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেড়েছে। তাই সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা প্রয়োজন। এজন্য পে-কমিশন গঠন করাসহ ১১ দফা দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউর রহমানসহ প্রমুখ।