প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসান ফিল হিন্দাল শারকিয়ার মিডিয়া অ্যান্ড আইটি বিভাগের প্রধানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সবুজবাগ থানার কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সাকিব বিন কামাল।
কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জামায়াতুল আনসান আল হিন্দাল শারকিয়ার মিডিয়া অ্যান্ড আইটি বিভাগের প্রধান সাকিব বিন কামাল একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
তিনি শিক্ষকতা ও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজে জড়িত ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি জামায়াতুল মুসলিমিন ও হিজবুত তাহরির সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন। পরে সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি গ্রুপ তৈরি করেন। গ্রুপটি ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে অর্থ সংগ্রহ ও রিক্রুটমেন্টের কাজ করতে থাকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে তিনি বৈশ্বিক উগ্রবাদের উত্থানে নব্য জেএমবি মতাদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের মতাদর্শ প্রচারে কাজ শুরু করেন। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।
কারাগারে থাকাকালে পরিচয় হয় জামায়াতুল আনসান ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা শামিন মাহফুজের সঙ্গে। শামিন মাহফুজ তাকে নব্য জেএমবি মতাদর্শ থেকে সরিয়ে তার সংগঠনে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে সাকিব বিন কামাল কারাগার থেকে বের হয়ে শামিন মাহফুজের সংগঠনের কাজ করতে থাকেন। শামিন মাহফুজের নেতৃত্বে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও মিডিয়া-সিকিউরিটি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ে সক্রিয় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ক্রয়, রিক্রুটমেন্ট ও সংগঠনের নতুন নাম ‘জামায়াতুল আনসান ফিল হিন্দাল শারকিয়া’ দেওয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাকিব বিন কামালের আইটি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার কারণে শামিন মাহফুজ তাকে এই সংগঠনের আইটি ও মিডিয়া বিভাগের দায়িত্ব দেন।
সাকিব বিন কামাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গোপন যোগাযোগের অ্যাপ চালানো এবং পাহাড়ে ট্রেনিং ক্যাম্পে নাইট ভিশন সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে কাজ করেন।
সংগঠনের মানহাজ ও আক্বিদা ইংরেজিতে অনুবাদ করে একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে একটি গ্লোবাল অডিয়েন্স তৈরির জন্য কাজ করেন।
এ ছাড়াও সংগঠনে গোপনে রিক্রুটমেন্ট এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের এই সংগঠনের হয়ে কাজ করার জন্য সাকিব বিন কামাল দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন। উগ্রবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম ও রমনা থানায় দুটি মামলা রয়েছে।
ডিএমপির ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।