প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৪৭ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ০১:১০ এএম
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড। ফোকাস বাংলা ফটো
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তত ৩০ জনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের মধ্যে ১০ জনকে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবাজারে যখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন, তখন একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে। এ সময় ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কয়েকজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত হন।
ওই ঘটনায় গত শুক্রবার ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম ৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বংশাল থানায় একটি মামলাটি করেন। অগ্নিকাণ্ডের দিন পুলিশের কাজে বাধা এবং হামলার ঘটনাও ঘটে। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনায় বংশাল থানার এসআই মো. ইসরাফিল অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বংশাল থানা পুলিশ মামলা দুটির তদন্ত করছে। তাদের পাশাপাশি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। হামলার পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, স্থানীয়দের দেওয়া সাক্ষ্য ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩০ জন হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (লালবাগ) মশিউরি রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তার ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। অন্যদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ওপর যেন অবিচার করা না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। এ জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় অনেকেরই মাথা ঠিক ছিল না। চোখের সামনে আয়ের একমাত্র সম্বল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা দেখতে দেখতে তারা ক্লান্ত হন। এ সময় পাশেই ফায়ার সদর দপ্তরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তখন পাশে থাকা অনেক ব্যবসায়ী দৌঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টায় অন্যত্র চলে যান। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে হামলার সেই দৃশ্য দেখেন। এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা উচিৎ।
বংশাল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, দুই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্যদের আদালতের নির্দেশ কারাগারে পাঠানো হয়।