যাত্রাবাড়ীতে মালিক-এলাকাবাসীর মারধরে ভাড়াটিয়ার মৃত্যু

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মানিকনগরে স্ত্রীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে বাসার মালিক ও স্থানীয়দের মারধরে এক যুবক ভাড়াটিয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে মারধরে গুরুতর আহত যুবককে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার দিকে মানিকনগরে মনোয়ারা হাসপাতালের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

মারধরের কারণ ও ঘটনার বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

নিহত ২৮ বছর বয়সি আব্দুল্লাহ আল-সোহানের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইউনুস খান। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের সি-ব্লক আনসার ক্যাম্পের পেছনে জামাল উদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং পিৎজার ব্যবসা করতেন তিনি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে নিহতের চাচাতো ভাই সাগর মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই দুই বছর আগে প্রেম করে মাসুমা সিদ্দিকা দোলাকে বিয়ে করে। পিৎজার ব্যবসা করলেও বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে।’

নিহতের পরিবারের বরাতে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি বলেন, ‘স্বজনের কাছে জানতে পেরেছি আব্দুল্লাহ আল-সোহান দুই বছর আগে দোলা নামে এক মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করেন। এটি উভয় পরিবারের লোকজনই জানতেন। গতকাল রাতে মানিকনগরের ভাড়া বাসার মালিক জামালসহ স্থানীয়রা দোলা এবং সোহানের কাছে বিয়ের বিষয়ে জানতে চায়। দোলা এ সময় বিয়ের কাগজপত্র দেখান।

এর পরই লোকজন জোর করে সোহানকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে কিলঘুসি মারতে থাকে। এতে সোহান অচেতন হয়ে পড়লে উদ্ধার করে তাকে দ্রুত মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।’