প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ২২:০০ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ২২:২৯ পিএম
রাজধানীর শ্যামপুরে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের 'নদী নেবে' শিরোনামে ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রবা ফটো
রাজধানীর শ্যামপুর ইকো পার্কে শুরু হয়েছে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী। সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 'নদী নেবে' শিরোনামে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নদী রক্ষা করেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে হবে। কোনোভাবেই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। দখল-দূষণের হাত থেকে নদী রক্ষা করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদী রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন দরকার প্ল্যান অব অ্যাকশন। শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি নগরবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘প্রভাবশালীদের দাম্ভিকতার শিকার নদী। এদের কারণেই নদী দখল ও দূষণ হচ্ছে। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উন্নয়ন! যাদের কারণে উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী রক্ষা কমিশনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো শক্তিশালী করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাকলী প্রধান। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষায় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাগুলোকে একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ রূপ দিতে হবে। জনগণকে সচেতন হলে প্রভাবশালীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে। আর সেটি হলেই প্রাণ ফিরে পাবে নদীগুলো।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিয়ের বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল শাখা) এ কে এম মতিউর রহমান।
‘নদী নেবে’ শিরোনামে এটি এ বছরের শেষ প্রদর্শনী। এর আগে ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে এবং ১০ থেকে ১২ মার্চ খুলনায় রূপসা নদীর তীরে আরও দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কাকলী প্রধান ও শিশু সংগঠন ইকরিমিকরির এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)।
একযুগেরও বেশি সময় কাকলী প্রধান সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্যে কাজ করছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ধারণ করা বিভিন্ন আলোকচিত্রই স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। যেখানে উঠে এসেছে নদীর রূপ-সৌন্দর্য, দখল-দূষণ ও অনিবার্যতা।