রাজধানীর খিলাগাঁওয়ের তালতলা থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ মার্চ) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামপুরা ও খিলগাঁও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাইদুল ইসলাম, আমান উল্লাহ আমান, মো. শরিফ, ওয়াসিম উদ্দিন ওরফে সাইফুল, সাগর আহমেদ, সুমন মিয়া, রুবেল, হক মিয়া, মকসুদ, মোস্তফা হোসেন, মো. স্বপন, জসিম সরদার, মো. মনির, লাট মিয়া, জাফর সরদার, কামাল হোসেন, বাদশা মিয়া, ইয়াছিন বেপারী, খোকন ও হানিফ ঢালী।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, খিলগাঁওয়ের তালতলা সুপার মার্কেটের পাশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়। সেই কার্যালয়ে পেছনে একটি স্থানে কয়েকদিন ধরে জুয়ার আসর বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। চক্রের হোতা টিক্কা জাহাঙ্গীর ও সায়েম নামে দুজন। তবে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করতো আমান নামে আরেকজন। সে বোর্ড থেকে টাকা তুলে আশ্রয়দাতাদের মাসোহারা দিতো। গোপন খবরের ভিত্তিতে ভোররাতে সেখানে অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, ১৮ ব্যক্তি জুয়া খেলছে আর দুজন পাহারা দিচ্ছে। তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। জুয়া খেলার কার্ড ও টাকা জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম জানান, জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টিক্কা জাহাঙ্গীর ও সায়েম যুবলীগের নেতা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জুয়ার আসর বসানোর পাশাপাশি চাঁদাবাজি করে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন আইনে একাধিক মামলাও রয়েছে। কাউন্সিলর শওকতের ছত্রছায়ায় এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, তালতলা মার্কেটের উত্তর-পশ্চিম পাশে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের পেছনে আব্দুস সালাম মাসুদ নামে এক ব্যাক্তির প্লট রয়েছে। সম্প্রতি ওই প্লট কাউন্সিলরের কাছে বিক্রির জন্য মাসুদকে চাপ দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। পরে কাউন্সিলরের ঘণিষ্ঠ টিক্কা ও সায়েম সেখানে জুয়ার আসর বসান। রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেখানে জুয়ার আসর চলে।
অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর ও সায়েমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাদের প্রশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কাউন্সিলর সাখাওয়াত বলেন, জাহাঙ্গীর ও সায়েমের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্কের বাইরে কোনও সম্পর্ক নেই। তারা কোনও অপরাধ করে থাকলে সে দায় তো আমার নয়। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।