প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৪ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ০০:০৭ এএম
জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজ। সংগৃহীত ফটো
দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কমিটির আড়ম্বরপূর্ণ নৈশভোজ নিয়ে সন্দেহ করছে তারই দল বিএনপি। এ আয়োজনের সঙ্গে রয়েছেন লেখক-কবি ফরহাদ মজহারও।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পর নৈশভোজ আয়োজন করার মধ্য দিয়ে আবার প্রকাশ্যে আসার ঘোষণা দিল সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠার সময় ফরহাদ মজহার আহ্বায়ক ও শওকত মাহমুদ সদস্য সচিব ছিলেন এই সংগঠনের।
আমন্ত্রণপত্র দিয়ে ও ফোন করে এই নৈশভোজে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে আমন্ত্রণ পাওয়া অনেকেই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, দীর্ঘদিন পর শওকত মাহমুদ এই কমিটি পুনর্গঠন করে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ার পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা বোঝাতে চান, এর পেছনে সরকার রয়েছে।
এর আগে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শওকত মাহমুদকে দুইবার কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বিএনপি। শওকত মাহমুদ ওই দুটি নোটিসের জবাবও দিয়েছেন। সর্বশেষ গত বছর নোটিসের জবাব দেওয়ার পর তাকে আর বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি রাজধানীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা অঞ্চলের বিএনপি-সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যে মতবিনিময় হয়েছে, সেখানেও তাকে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করলে শওকত মাহমুদ কোনো সাড়া দেননি। তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি মানবাধিকারবিষয়ক একটি কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। কমিটিতে আর কেউ নেই। এটি পুনর্গঠন করা হবে।
বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এ কমিটি নিয়ে ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদ সক্রিয় হওয়ার পেছনে রহস্য রয়েছে। কারণ, এর আগেও শওকত মাহমুদ আরও কয়েকটি কাজ করেছেন, যা আমাদের দলের হাইকমান্ড পছন্দ করেননি।’ তিনি বলেন, ‘দল পছন্দ করছে না, সেহেতু তিনি কেন এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন! সামনের দিনগুলোতে তাদের কর্মকাণ্ড আরও স্পষ্ট হবে।’
এরই মধ্যে এই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ পাওয়া সমমনা দলের নেতাদের বারণ করেছে বিএনপি।