প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৯ পিএম
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। প্রবা ফটো
বর্তমানে নারীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে দেশে নির্দিষ্ট করে আলাদাভাবে নারী দিবস পালনের দরকার হবে না বলে মনে করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত লেখাপড়ায়ও আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ পুলিশে এখন ১০ শতাংশ নারী কর্মরত রয়েছেন।’
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিয়া হক।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে শুধু নারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নির্যাতিত নারীদের মানসিক, আইনি সেবাসহ বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশের নারীরা দেশ, মেধা ও যোগ্যতার সক্ষমতা রাখছেন। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। ডিএমপি এলাকায় আড়াই হাজার নারী সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের অনেক মানসিক সীমাবদ্ধ কাজ করে। তাদের মফস্বলে পোস্টিং দিলে যেতে চান না, ঢাকায় থাকতে চান। অনেক ক্ষেত্রে নাইট ডিউটি দিলে নারীরা অনীহা প্রকাশ করেন। এই মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, এসবির উপমহাপরিদর্শক আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।