প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩ ২১:৫১ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৪ পিএম
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর উদ্যোগে 'ভূমিকম্পজনিত দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস : প্রস্ততি ও করণীয়' শীর্ষক সেমিনার। প্রবা ফটো
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রকৌশলীরা সভ্যতা বিকাশের অংশীজন। একটি জাতি বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, ‘তুরস্কে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তের তথ্যগুলো নজরে আনার জন্য এই সেমিনার। পেশাজীবীদের দায়বদ্ধতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেশাজীবীরা হালনাগাদ থাকতে হয়। চিকিৎসক, আইনজীবীদের কাউন্সিল থাকলেও প্রকৌশলীদের কাউন্সিল নেই।’
শনিবার (১১ মার্চ) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর উদ্যোগে 'ভূমিকম্পজনিত দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস : প্রস্ততি ও করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘটনা ঘটে গেলে দায়িত্ব কার ওপর দিয়ে পার পেয়ে যাবো সেটাই আমরা করি। কোনো দূর্যোগ ঘটলে সবাই সেখানে ভীড় জমায়। ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, সিটি করপোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট, রাজউক সবাই গিয়ে হাজির হয়। আসলে দূর্যোগে শুরুতে কে কাজ করবে সেটা অনেক দায়িত্বশীলরাও জানে না। ভবন নির্মান কোড-১৯৯৩, ২০২০ সালে প্রস্তুত হয়েছে। ছোট ছোট দূর্যোগ মোকাবিলা না করতে পারলে তুরস্কের মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
মেয়র আরও বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে বহুগুণ। ফলে মানুষ মান নিয়ন্ত্রণে অনাগ্রহী হচ্ছে। ফলে যেকোনো সমস্যায় প্রকৌশলীরাই সমাধান দিতে হবে। সমস্যার গভীরে যেতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে যেকোনো দূর্যোগ মোকাবিলা করা যাবে।
আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদার বলেন, করোনার মতো যেকোনো দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রকৌশলীরা সবার আগে মাঠে কাজ করেন। প্রকৌশলীরা সরকারের উন্নয়নে অন্যতম কারিগরি ভূমিকা পালন করেন।
আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী আহমেদ আনসারি।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি রোধে প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নগরের সঠিক পরিকল্পনাই যথেষ্ট। ভবন নির্মাণে সাবধানতা অবলম্বন করলে ভূমিকম্পে ক্ষতি কমানো সম্ভব। ভবন নির্মাণে নগরের নীতিমালা মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া সরকারের সকল সংস্থাগুলোর নজরদারি জোর করাও প্রয়োজন। ভবন মালিকেরা সরকারকে সহযোগিতা করলে ভূমিকম্পের ক্ষতি কমানো সম্ভব। ভূকম্পের উপর প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। ভবনগুলোর মধ্যে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল নির্মানে ভূকম্পন সহনীয়ভাবে নির্মাণ করতে হবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রনক আহসান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মো. আবুল হোসেন, সম্পাদক কাজী খায়রুল বাসার, আইইবির পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট, ইউএনডিপির পরামর্শক ব্রিগ্রে. জেনা. (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান, রাজউকের আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ হেলালী,ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র কুমার, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ হুদাসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ, সেন্টারের প্রকৌশলীরা।