বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৫ পিএম
হাসপাতালে আসা আহতদের রক্ত ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ। প্রবা ফটো
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা আহতদের রক্ত ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আলাদা বিবৃতিতে আহতদের জন্য রক্ত সংগ্রহ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কয়েকটি মেডিকেল ইউনিটকে রক্ত সংগ্রহ, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও আহতদের নির্বিঘ্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়।
ঢাবি ছাত্রলীগ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে আহতদের জন্য জরুরি রক্ত সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ঢাবির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রক্তদানে এগিয়ে আসার জন্য এবং রক্ত দিতে ইচ্ছুকদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সি গেইটে ছাত্রলীগের তথ্যকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।’
নগরীর ব্যস্ততম সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি সাততলা ভবনে বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক আহত রোগী মারা যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৭ জন। পাঁচ জনকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের জন্য প্রয়োজন রক্ত। অনেকের জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। তাই কারো যাতে রক্তের জন্য সমস্যা না হয় এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা সহজে পায় সেজন্য ছাত্রলীগ এই সেবা দিচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ছাত্রলীগের তথ্যকেন্দ্রে’ এক হাজার রক্তদাতা মজুদ করেছে ঢাবি ছাত্রলীগ। তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত রক্ত দান করেছেন ৮ রোগীকে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এখন মানুষের সাহায্য করাটা সবচেয়ে জরুরি। রোগীদের যার যে সেবা প্রয়োজন আমরা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। একজনও যাতে সেবার অভাবে মারা না যায়, রক্তের অভাবে মারা না যায় সেব চেষ্টা করছি। আমরা হাসপাতালের একেবারে সামনেই দাড়িয়ে আছি। যার যা প্রয়োজন আমাদের যাতে বলে সেজন্য প্লেকার্ডও হাতে রেখেছে কর্মীরা। রক্ত দিতে পারবে এমন ১০০০ জন এখানে আছে, অ্যাম্বুলেন্স সেবাও দিচ্ছি।’