প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৮ পিএম
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে শিরিন ম্যানসনে বিস্ফোরণের পর ডগ স্কোয়াড নিয়ে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা। প্রবা ফটো
সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ হওয়া শিরিন ম্যানসনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কোনো গ্যাস লাইন ছিল না। এমন কী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবনটি হয়তো ভাঙার পরিকল্পনা করেছিলেন মালিক। সে জন্য সেটির মাপজোখও করা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে।
জানা গেছে, ভবনটির মালিক শিরিন আক্তার। তিনি কানাডা প্রবাসী। তার বোন জাকিয়ার কাছে ভাড়া তুলে দিতেন ভবনের ম্যানেজার আবুল কালাম।
ভবনটির দ্বিতীয় তলার বেস্ট টেইলার্সের মালিক আব্দুর রশীদ বলেন, ‘আমি ২০১৫ সাল থেকে ভাড়া নিয়েছি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কোনো গ্যাসের লাইন নেই। আমরা চা খাওয়ার জন্য ইলেকট্রনিক কেটলিতে পানি গরম করতাম।’
ভবনটি ভেঙে হয়তো আরও বড় কিছু করার পরিকল্পনার কথা ভাবছিলেন মালিক। সে কারণে কয়েকজন গত সপ্তাহে মাপজোখ করতে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গত সপ্তাহে কয়েকজন এসে ভবনটি মাপজোখ করছিল। এ সময় তারা আমাদের টেইলার্সের ভেতরেও মাপ দেয়। তখন জানতে চাইলে বলেছে, মালিকের ভাই এসেছেন আমেরিকা থেকে, তিনি পাঠিয়েছেন মাপজোখ করতে।’
বিস্ফোরণের পর আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখানে আমার কাপড়ের গোডাউন ছিল। কয়েকদিন আগে ৫০ লাখ টাকার কাপড় তুলেছি, রমজানের ঈদ উপলক্ষে। এ ছাড়া অন্য পাশে প্রায় ২৭ লাখ টাকার কাপড়চোপড় ছিল। সবগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। দোকানের ফলস সিলিংসহ সব ভেঙেচুরে গেছে।’
ভবনের ম্যানেজার আবুল কালাম বলেন, ‘তিনি ৪০ বছর ধরে এই ভবনে চাকরি করেন। এ সময় থেকে নিচতলায় হোটেল ছাড়া উপরে কোনো গ্যাসের লাইন নেই। কীভাবে এই বিস্ফোরণ হলো কিছুই বুঝতেছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি গত চারদিন ধরে অসুস্থতার জন্য ছুটিতে আছি। ওই ভবন থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ভাড়া ওঠে। আমি ভাড়া তুলে জাকিয়া ম্যামকে দেই তিনি সে টাকা বিদেশে শিরিন ম্যামের কাছে পাঠিয়ে দেন।’