প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:২৮ পিএম
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থার কার্যকরিতা দেখতে আসেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ। প্রবা ফটো
যাত্রীদের টিকিট ছাড়া বাসভাড়া পরিশোধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ।
রবিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থার কার্যকরিতা ও যাত্রীদের কথা শুনতে এসে এ আহ্বান জানান তিনি।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বেশ কয়েকটি বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে টিকিটিং নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু বাসে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা সেই বাস মালিকদের ডেকে কথা বলছি। অনেকদিন পর এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। মালিক পরিবহন সমিতির টিম কাজ করছে। আমি নিজে মাঠে থেকে কাজ করছি। এই পদ্ধতি ঠিক করতে রাস্তায় ১৯ জন চেকার কাজ করছে। এখানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কিছু অভিযোগ থাকলেও ই-টিকিটিং নিয়ে যাত্রীরা খুশি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা ই-টিকিটিংয়ের বিষয়ে খুবই খুশি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করা। আশা করি আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারব।’
অনিয়ম বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানান এই পরিবহন নেতা। তিনি বলেন, ‘যদি ঠিক না হয়, তবে রোডে তাদের গাড়ি চলাচল আমরা বন্ধ করে দেব। ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই জায়গাটাতে আমরা জিরো টলারেন্স।’
এর আগে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত বসান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল। পুলিশের সহায়তায় তিনি বিভিন্ন বাস দাঁড় করিয়ে চেক করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস না থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দুই বাসচালককে মামলা দেন। ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি। বাকিদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।
বিআরটিএয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত-৮) সমর কুমার পাল বলেন, ‘আমরা সবকিছুই দেখছি। তবে আজকে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বাসে ই-টিকিটিংয়ের বিষয়। আমরা ই-টিকিটিংয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারা যেন ভাড়া দিয়ে টিকিটটা ঠিকঠাক বুঝে নেয়। অনেক সময় ভাড়া নিয়ে কন্ডাক্টররা টিকিট দিতে চায় না, আমরা যাত্রীদের বলার চেষ্টা করেছি, তারা যেন টিকিট দিতে কন্ডাক্টরকে বাধ্য করে। তাহলে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং সিস্টেমটা দাঁড়িয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ’যেহেতু ই-টিকিটিং নতুন একটা বিষয়, কিছু অসঙ্গতি আছে। এটা স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে। আমরা আজ এ বিষয়ে কোনো জরিমানা করিনি। তবে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি।’
সম্প্রীতি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি রোধে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ৫৯টি বাস কোম্পানির ৩ হাজার ৩০৭টি বাসে পজ মেশিনে টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।