প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩৫ পিএম
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
রবিবার (৫ মার্চ) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চুক্তি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে কয়লা, পরমাণু ও এলএনজিচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ফাঁদ থেকে দেশ রক্ষা এবং আদানি চুক্তি সইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশ বাঁচানোর জন্য মানুষকে জেগে উঠতে হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আমাদের বাঁচাবে না। আপনাদেরকেই আপনাদের বাঁচাতে হবে। এ জন্য মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এক ভয়ংকর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষকে অন্ধকারে রেখে তাদের কোনো তথ্য জানতে না দিয়ে এসব চুক্তি করা হচ্ছে।’
আদানির চুক্তিকে তিনি মহাজনী প্রথার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘আগের দিনে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিলে এক পুরুষে তা শোধ হতো না। এখানেও তাই হচ্ছে।’
অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, ‘সরকারের হাতে বিকল্প থাকলেও সরকার সেই পথে না হেঁটে আদানির মতো লুটেরা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। আদানির শুধু ভারত দিয়ে হচ্ছে না। তার প্রতিবেশী দেশগুলো দরকার হচ্ছে। এজন্য শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশে তাদের থাবা পড়েছে।’
বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশে তাদের কাজ পাওয়া সহজ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদানি চুক্তির আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি ভারত তা কোনো দিন ভুলতে পারবে না। এই বক্তব্য প্রমাণ করে আদানির মাধ্যমে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে একটি জনসমর্থনহীন সরকার বারবার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।’
শাসক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভারতের হস্তক্ষেপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন স্বাধীনতার পর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন চলছে। আদানির মতো এ ধরনের চুক্তি ঠেকাতে হলে গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে আদানির চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।