প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
মারমা নারীকে 'ধর্ষণ' ও নির্যাতনে অভিযুক্ত কায়সারকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ। প্রবা ফটো
ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন আদিবাসী যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর গাফিলতিতে ধর্ষণের মতো অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে আসামিরা।
বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালীতে মারমা নারীকে 'ধর্ষণ' ও নির্যাতনকারী মো. কায়সারকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ ও সঞ্চালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক ফাল্গুনী ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস, ঢাকা মহানগর শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক অংশৈসিং মারমা।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ বলেন, ‘পাহাড়ে নিরাপত্তার বাহিনী আছে। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল আপনারা কিছুই করতে পারেননি। এ রকম নিরাপত্তার দরকার নেই। এক দিন আগেও ম্রো ও ত্রিপুরা আদিবাসীদের উচ্ছেদ করতে জুম পোড়ানো, ঝিরিতে বিষপ্রয়োগ থেকে শুরু করে কত ষড়যন্ত্র করতে দেখেছি। আমরা এটাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা এমনি এমনি উঠে যায়নি। একটি ধর্ষণের আট দিন পরও যখন বিচার হয় না, তারপর কীভাবে আস্থা রাখা যায়? যেদিন থেকে ধর্ষক কায়সারকে সেখানকার মহিলা মেম্বার জোসনা আক্তার তার নিজ হেফাজতে নিয়ে যান, সেদিন থেকে সে লাপাত্তা। উন্নয়নের নামে পর্যটন করে পাহাড়িদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
সমাবেশে সংহতি বক্তব্য দেন গানের দল সমগীতের ভোকাল বিথী ঘোষ। তিনি বলেন, 'ধর্ষণের বিচার পাওয়ার সঙ্গে ক্ষমতার একটি গভীর সম্পর্ক আছে। সেটেলাররা পাহাড়ে সব সময় শক্তিশালী। কেননা নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় তাদের শক্তির জোগান দিয়ে আসছে।'