মেট্রোরেলের জন্য পূর্বাচলের রাস্তা ভাঙতেই হবে

পূর্বাচলে মেট্রোরেলের উড়াল পথের নির্মাণ কাজের জন্য আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের কিছুটা ভাঙা পড়বে। তবে কতটুকু ক্ষতি হবে তা জানতে স্টাডি করতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণে কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা (যা  পূর্বাচল ৩০০ ফুট নামে পরিচিত) তেমন ক্ষতি হবে না। উদাহরণ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে কারও জমি নেওয়া হয়, কারও ভবন ও বাড়ি ভাঙা পড়ে, তার জন্য অবশ্যই আমরা ক্ষতিপূরণ দেই। তার আগে আমরা কতটুকু ক্ষতি হবে তা স্টাডি করি। আমরা কাগজপত্র নিয়ে বসলে বুঝতে পারব কতটুকু ক্ষতি হবে। আমরা কাজ করতে গেলে আরও বেশি বোঝা যাবে।’ 

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত মেট্রোরেল লাইন-৫ সাউদার্ন রুট এর কারিগরি পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িল-কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণ করেছে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া কাজ নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিংহভাগ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের যেকোনো সময় প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হবে। এ অবস্থায় দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল বা এমআরটি-১ এর কাজ শুরু হয়েছে।

মেট্রোরেল প্রকলের কাজের জন্য কুড়িল-কাঞ্চন ব্রিজ এক্সপ্রেসওয়ের (পূর্বাচল) একাংশ ভাঙা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। 

রবিবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘পূর্বাচল অংশে মেট্রোরেলের কাজ চলাকালে হয়তো রাস্তার সামান্য ব্যত্যয় হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। আইল্যান্ড ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।’

আমিন উল্লাহ নুরী আরও বলেন, ‘আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফুট রাস্তার দুই দিকে সড়কবাতি লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে লাগানো হয়নি। এখন কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে, বিধায় সড়কবাতি লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে সড়কবাতি লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি।’

এ অংশে থাকা ১২টা আন্ডারপাসের ক্ষতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সমন্বয় করেছি। মিনিমাম (একেবারে কম) অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হচ্ছে। কয়টা আন্ডারপাস ভাঙা হবে এ নিয়ে আমাদের আবারও বসতে হবে।’

কোনো প্রকার সমন্বয়হীনতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমন্বয় করা হয়েছে বলেই মাঝে জায়গা রাখা আছে। আন্ডারপাসে হয়তো সামান্য কিছু ভাঙা পড়বে। একটা রাস্তা করতে গেলে শতভাগ সোজা করা যায় না, কিছুটা বাঁকা হয়।’