সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:২৪ এএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:২৬ এএম
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত প্রতীকী অনশন। ছবি: সংগৃহীত
তদন্তের নামে কালক্ষেপণ বন্ধ করে ৩০ দিনের মধ্যে সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ১১ বছরে ১ হাজার ১০০ কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে না। মন্ত্রী আশ্বাস দেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয় না। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তার কোনোটির বিচার হয়নি। দু-একটার হয়েছে, তা নিয়েও পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
৩০ দিনের মধ্যে সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা না হলে ডিইউজের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, অন্যরা যদি বিচার পায় সাংবাদিকেরা কি অপরাধ করল, আমাদের বিচার হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সহকর্মীদের নির্যাতন-হত্যার বিচার চাইলে আপনারা সাড়া দেন না, এর রহস্য কী? না পারলে ঘোষণা দেন; সাংবাদিকদের ওপর যত নির্যাতনই হোক, তারা বিচার পাবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিকতা থাকলে সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বিএফইউজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকারিয়া কাজল বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, এমন ঘোষণার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতার অভাব নেই, তবে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে আসলে তারা ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে যান। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে না চাইলে বলে দিন; এটা ক্লুলেস মার্ডার, এটার বিচার হবে না।’
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য শাহনেওয়াজ দুলাল। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালিন নোমানী।
প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শেষে বেলা দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেয়।