প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৮ পিএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’ আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় অতিথিরা। প্রবা ফটো
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মসলা জড়িত। আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে দানা জাতীয় ও শাকসবজি ফলমূল জাতীয় ফসলের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’ আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মসলা জাতীয় ফসল চাষে লাভবান হলেই কৃষকরা ধান জাতীয় ফসলের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এটি চাষ করবে। আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে মসলার আবহাওয়া উপযোগী উন্নতমানের জাত আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে সকলকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ। মসলা জাতীয় ফসলের ‘উন্নত জাত, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।
প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দেশে বছরে ১৫ হাজার টন জিরার চাহিদা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত এলাকার মসলা উৎপাদন ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং মসলা আমদানির হার হ্রাস পাবে। ’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।