প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৪ পিএম
জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মতবিনিময় সভায় হট্টগোল। সংগৃহীত ফটো
সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে লাইসেন্সধারী সব এজেন্সি জনশক্তি পাঠানোর সমান সুযোগ দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মতবিনিময় সভায় এ দাবি তোলা হয়। তবে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি নিয়ে কয়েক দফা হট্টগোলের ঘটনাও ঘটেছে।
‘কম খরচে, দ্রুত কর্মী প্রেরণের নিমিত্তে, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বায়রার সকল সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি’ শিরোনামে মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।
সভায় বায়রার নির্বাচিত নেতারা মঞ্চে ছিলেন। সংগঠনটির কয়েকশ সাধারণ সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন। বৈধ লাইসেন্সধারীরা বায়রার সাধারণ সদস্য।
হট্টগোলের বিষয়ে বায়রার সভাপতি বলেন, ‘দেশে বৈধ লাইসেন্স আছে ১ হাজার ৮০০–এর বেশি এজেন্সির। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে ১০০টি। এককভাবে কয়েকজন কাজ করছে। এ কারণেই কিছুটা হট্টগোল হয়েছে। সভায় মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের জন্য উন্মুক্ত লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে যেসব এজেন্সির বৈধ লাইসেন্স আছে এবং অভিজ্ঞ তাদের প্রধান্য দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।’
বায়রার বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০ বৈধ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০০টি এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে। বাকি প্রায় ১ হাজার ৬০০ লাইসেন্সধারী এজেন্সিও যেন মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারে, সে জন্য এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
বঞ্চিতদের অভিযোগ, কিছু এজেন্সি সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে। বায়রার কমিটিতে যারা রয়েছেন, তারাই মূলত সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছেন। বাকিদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।