প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৪৯ এএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৫ এএম
সংগৃহীত ফটো
শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও তার প্রভাবে পণ্যমূল্য বেড়ে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ায় জনজীবনেও এর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মনিরুল ইসলাম। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ায় তার জীবনেও এর প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) মনিরুল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘করোনার পর এমনিতেই বাজরে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে খরচ ছিল ৫ হাজার, এখন হয়েছে ৭ হাজার। তার ওপর সরকার নতুন করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের ওপর যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না ভাই। প্রতি মাসে বাচ্চার স্কুলের খরচ, মা-বাবার ওষুধ। সবকিছুতে আগুন লেগে গেছে। আমাদের বেতন বাড়েনি, গত এক বছরে যা ছিল তা-ই আছে এখনও।’
রিকশাচালক মোমিনুর রহমান। থাকেন কুড়িল বিশ্বরোডে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে, এটা শুনেই আতঙ্কিত তিনি। বলেন, ‘এখন আগের মতো খ্যাপ মারা যায় না। আবার বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে সবকিছুর জন্য। মাংস খেয়েছিলাম কোরবানিতে। এরপর এখন পর্যন্ত শাকসবজি খেয়ে বেঁচে আছি। যে হারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, মনে হয় সামনে এটাও কপালে জুটত না।’
বিদ্যুতের দাম বাড়ায় জনজীবনে হতাশা। সব মিলিয়ে সরকার গত ১৪ বছরে ১১ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সর্বশেষ বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, তা বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়েছে। গ্রাহকপর্যায়ে দাম বেড়েছে ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা। বর্তমান মূল্য ৪ টাকা ১৪ পয়সা, যা আগে ছিল ৩ টাকা ৯৪ পয়সা।