প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৬ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫১ পিএম
গত ২৯ ডিসেম্বর মেট্রোয় চড়ার লাইন। ছবি : প্রবা
চার ঘণ্টার মেট্রোযাত্রায় মন ভরছে না। দুপুর ১২টায় মেট্রো স্টেশনের বাইরে মানুষের লম্বা লাইন থেকে যাচ্ছে। শত শত মানুষ অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন।
মেট্রো ঘিরে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে তাতে একটুও ভাটা পড়েনি এখনও। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন অনেকে সপরিবার মেট্রোয় চড়তে গিয়েছেন। সকাল সকাল গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করেছেন তারা।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পরও মেট্রোর আগারগাঁও স্টেশনে কয়েক হাজার মানুষকে লাইনে দাঁড়ানো দেখা গেছে। এদের একজন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ঘণ্টার ওপরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু মেট্রোরে দেখা পাব বলে মনে হয় না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। বনশ্রীর বাসা থেকে সাড়ে ৯টায় বের হয়েছি। অন্য কোনো ছুটির দিন তিনি আবার আসব।’
তবে যারা নিয়মিত যাত্রার জন্য এমআরটি পাস কিনেছেন তারা টিকিট কাটার ঝক্কি না থাকায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছেন। তাদের কোথাও লাইন ধরতে হচ্ছে না। স্টেশনে ঢুকেই ট্রেন ধরতে পারছেন। কিন্তু শখের যাত্রীদের ভোগান্তি রয়েই গেছে।
সাধারণ মানুষ মনে করছে, ভোগান্তি কমাতে মেট্রোর সময় বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই। মানুষ যদি এসেই ট্রেনে উঠতে পারত, বাইরে লাইনে না থাকতে হতো, তাহলে সুবিধা হতো। আপাতত যারা সকাল ৯টায় মতিঝিলে অফিস ধরতে চান তাদের জন্য মেট্রোর যাত্রা সুখকর নয়। স্টেশনের বাইরে মানুষের ভিড় ঠেলা অনেকের জন্য কষ্টকর হচ্ছে।
মেট্রার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এখন যারা এমআরটি পাস নিয়েছেন তাদের কোনো টিকিট কাটতে হচ্ছে না। এসেই তারা ট্রেন ধরতে পারছেন। অন্য যাত্রীদের লাইনে বাইরে দেখা যাচ্ছে। তিনি জানান, নিয়মিত যাত্রীদের অনেকেই এরই মধ্যে এমআরটি পাস নিয়েছেন।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি বলছে, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী শুরুতে মেট্রো পূর্ণমাত্রায় যাত্রী পরিবহন করে না। এখানেও তার ব্যতিক্রম করা হচ্ছে না। পর্যবেক্ষণ শেষে মাস তিনেক পর পূর্ণমাত্রায় যাত্রী পরিবহন করা হবে বলে তারা জানান।
সাধারণ যাত্রীদের জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) মেট্রো খুলে দেওয়া হয়। তার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।