প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৪৮ পিএম
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ। তিনি নিজেই প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ আগস্ট মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে ১৬ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়। বর্তমানে গণধর্ষণের এ মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন—সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এ ছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে হাইকোর্ট আদেশ দেন।