একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়  ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো সম্প্রসারণ সংক্রান্ত তিনটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। 

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব‍্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বৈদেশিক ঋণ ৮১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন হবে ১৪৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘Prevention of Violence and Harmful Practices against Children and Women in Bangladesh’। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।  গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প হচ্ছে— গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত), Disaster Risk Management Enhancement Project (Component 2&3) (দ্বিতীয় সংশোধিত), এবং Bangladesh Sustainable Recovery, Emergency Preparedness and Response Project (B-STRONG)।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্প’, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)’ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)’ ও এই তালিকায় রয়েছে।

মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন পাওয়া ৩টি প্রকল্প হলো, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ। খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত)। জাতীয় চিত্রশালা এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ (প্রথম সংশোধিত)।

একনেক সদস্যদের অবহিত করা অতিরিক্ত ১১টি প্রকল্প:

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১১টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বিমানবাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলায় জেট ফুয়েল রিজার্ভার নির্মাণ, চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি ফ্ল্যাট নির্মাণ, রাজশাহী বিভাগীয় সার্কিট হাউজ, ট্রেজারি ভবন নির্মাণ, সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের অফিস কমপ্লেক্সসহ একাধিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প।

এছাড়া, মাদারীপুর ও সিলেটে দুটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প এবং ডাক অধিদপ্তরের অবকাঠামো সম্প্রসারণ প্রকল্পের কথাও সভায় জানানো হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা জানান, প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে কর্মসংস্থান, সেবা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।