শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনিরুজ্জামানের বাসা থেকে উদ্ধার শিশু গৃহকর্মী আমেনার আক্তারের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। হাতিরঝিল থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের আবেদন করলেও নিহতের পরিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাজমা নাহারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের আবেদন করে। পরে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আমেনার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ইন্সপেক্টর তদন্ত আমাদের নিয়ে গেছেন। ওসি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়। একই এলাকায় বাড়ি উপ-সচিব মনিরুজ্জামানের। পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের আবেদন করায় ময়নাতদন্ত করা হয় নাই।’
এসআই জাহাঙ্গীর জানান, উপসচিব মনিরুজ্জামানের বাসায় গত দেড় বছর ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল আমেনা।
এর আগে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার একটি বাড়ির আট তলা থেকে ১৩ বছর বয়সী আমেনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। পরে তার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মঙ্গলবার মরদেহটি পরিবারের কাছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কর্মরত রতন ডোম বলেন, ‘ওই কিশোরীর মরদেহ সোমবার রাত ১১টার পরে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। এসময় আমাদের কাছে নিহতের মায়ের নাম ও ঠিকানা লেখা একটি কাগজ দেওয়া হয়। এর বাইরে মামলার কপি বা সুরতহালের কোনো রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। আজকে (মঙ্গলবার) বিকেলে দারোগা ফোন করে লাশের ময়নাতদন্ত করতে বারণ করেন। পরে তিনি এসে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ না বললে কোনো মরদেহের ময়নাতদন্তের বিষয়ে হাসপাতালের কিছু করার নেই।’
ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে কথা বলার হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
একই সঙ্গে উপ-সচিব মনিরুজ্জামানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
প্রতিদিনের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।