প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৬ পিএম
আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’। প্রবা ফটো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ দুটি মোটিফ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসররা চারুকলায় আগুন দিয়ে প্রতিকৃতি পুড়িয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত। এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’
শোভাযাত্রায় আরও বেশি মানুষ অংশ নেবে জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেলো বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইনড এবং আরো বেশি সংখ্যায় অংশ নেবো।’
উপদেষ্টা পোস্টে আরও লেখেন, ‘গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ঐ বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরও অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠল। জুলাই চলমান।’
শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এছাড়া আংশিক পুড়েছে আরেকটি মোটিফ ‘শান্তির পায়রা’।
ঘটনার পর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে পাঁচটার মধ্যে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এই কাজটি করা হয়েছে।
কে বা কারা আগুন দিয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।