বাজারদর
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ১২:০৫ পিএম
প্রবা গ্রাফিক্স
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ছে সব ধরনের মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি সব প্রজাতির মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। থেমে নেই সবজির। সরবরাহ সংকট দেখিয়ে বেশকিছু সবজির দামও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, ঢেঁড়স, করলা, পটোল, ঝিঙা ও চিচিঙ্গাসহ বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো, আলু ও কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁও, মহাখালী ও বাড্ডার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ২২০-২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ১ নম্বর সোনালি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৩৫০ ও অন্য জাতের সোনালি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি জাতের মুরগির দামও। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। তা ছাড়া দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। গতকাল বাজারভেদে ২০ টাকা বেড়ে ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী বাজারে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মুরগির ব্যবসা করেন নরসিংদী জেলার আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর রোজার ঈদের সময় মুরগির দাম বাড়ে। এ বছর পরিমাণটা একটু বেশি। গত সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দেশি মুরগির চাহিদা বেশি থাকলেও বাজারে এ জাতের মুরগি খুব কম। তা ছাড়া সোনালির দামও পাইকারিতে অনেক বেড়ে গেছে। ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি, মনে হচ্ছে এ সময়ে দাম আরও বাড়বে। কেননা বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
বাড্ডায় মুরগি বিক্রি করেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের বাড়তি চাহিদার কারণে খামারি পর্যায়েই মুরগি দাম বেড়ে গেছে। যার ফলে খুচরায় দাম বেশি।
এদিকে রমজানের এ পর্যন্ত শাকসবজির দামে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করলেও দুই-তিন দিন ধরে দাম বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির মৌসুম না হওয়ায় বাজারে সরবরাহ সংকট চলছে। তাই দাম বাড়তি। গতকাল বৃহস্পতিবার রামপুরা, মহাখালী কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও কিছুটা নিম্নমানের বেগুন ৮০ টাকা কেজিতেও পাওয়া যাচ্ছে। ঢেঁড়স, করলা ঝিঙা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পটোল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ১০০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ ও বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সজনা ১৫০ থেকে ১৬০, ধুন্দল ৯০ থেকে ১০০, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০, বাঁধাকপি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাড্ডা বাজারের সবজি বিক্রেতা মুমিনুল হক বলেন, এখন সবজির অফ সিজন। যার কারণে সরবরাহ কম তাই দাম বাড়তির দিকে। কৃষকরা এখন নতুন করে সবজির চাষ করছেন, সেগুলো বাজারে এলে দাম কমে যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মুরগি ও চালের দামে অস্থিরতা থাকলেও আলু, পেঁয়াজ, আদা ও চিনিসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ মানভেদে কেজি ৪০-৪৫ টাকা, আলু ২৫-৩০, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০, চিনি কেজি ১২০, ছোলা মানভেদে কেজি ১০০ থেকে ১১৫, দেশি নতুন রসুন ১০০ থেকে ১৩০, আমদানিকৃত রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত দুই সপ্তাহ আগে ভালো মানের মিনিকেট চাল খুচরায় প্রতি কেজি ৮৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন দাম ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। নাজিরশাইল মানভেদে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও পাইজাম কেজি ৬২ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।