× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঈদবাজার

নকলের দখলে প্রসাধনীর বাজার, ঝুঁকিতে ক্রেতা

ফারহানা বহ্নি

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ১১:৫৮ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এবার চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে হবে ঈদ। তীব্র গরমের কারণে অনেক নারী ভারী মেকআপের বদলে হালকা প্রসাধনী ও প্রাকৃতিক সাজের দিকে ঝুঁকছেন। ঈদের আমেজে পোশাকের পাশাপাশি হাতে মেহেদি আঁকা একটি আবশ্যিক রীতি। তবে নামিদামি ব্র্যান্ডের মেহেদি যেমন লিজান, উপটান, কাশ্মেরী, মমতাজ ইত্যাদিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর রঙ মিশ্রিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্রেতারা নকল ও আসল মেহেগি চিনতে পারছেন না, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

রাজধানীর নিউমার্কেটে ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে আসা গৃহকর্মী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ঈদের আগের দিন পরিবার-পরিজন সবাই মিলে মেহেদি দিই। এতে ক্লান্তি এলেও আনন্দটাই আলাদা। কিন্তু গতবার ছোট শিশুটির হাতে মেহেদি দেওয়ার পর তার ত্বক ফুলে গিয়েছিল, চামড়া উঠতে শুরু করেছিল। শিশুদের ত্বক খুব সংবেদনশীল, কিন্তু ঈদের উৎসব থেকে তাদের বাদ দিতেও চাই না। সমস্যা হলো, বাজারে ভালো মানের মেহেদি পাওয়া যাচ্ছে না। কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা বুঝবারও উপায় নেই।

শুধু মেহেদিই না, নকল হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের অন্য পণ্যগুলোও। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শ্যাম্পু, সাবান, ক্রিমও। আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। দেশে প্রসাধনীর এ নকল পণ্য মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। ত্বক ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করতে শুরু করেন কুমিল্লার বাসিন্দা নূপুর। তিনি বলেন, ক্রিম ব্যবহার করার পর বুঝতে পেরেছি আসলে আমার স্কিনটা পুড়ে গেছে। পরে ডাক্তারের কাছে গেলাম। প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। 

বিএসটিআই সূত্রে জানা যায়, ২ রোজা থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টা মোবাইল কোর্ট হয়েছে। এ সময় শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, হেয়ার অয়েল, স্কিন প্রোডাক্টসহ দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিসেও ভেজাল পাওয়া গেছে। নামিদামি হেড অ্যান্ড শোল্ডার, প্যানটিনসহ এ ধরনের অনেক প্রোডাক্টেই দেখা যায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত সিল নেই। যা খুব বিপজ্জনক ক্রেতাদের জন্য। সেজন্য বিএসটিআইয়ের সিল ভালো করে দেখে কিনতে হবে। বিএসটিআই চিহ্ন ঘষামাজা করা আছে কি না তাও দেখে কিনতে হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের বিদেশি প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর বোতল বা ডিব্বা কেটে ফেলে দিতে হবে। নইলে সেই বোতল নিয়ে সেটাকে নকল করতে পারে। আর এখান থেকে সেটা মহামারি আকারে ছড়াচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, মানহীন প্রোডাক্ট যে স্থানে ব্যবহার করা হয় সেখানে লালচে দাগ হয়। এলার্জি বা চুলকানি হতে পারে। বড় বড় চাকার মতো হয়ে যায়। চামড়া খসে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। ভারী ব্লিড, সিসা মেশানো প্রসাধনী ব্যবহার করলে সেগুলো রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিকল হতে পারে কিডনিও, দেখা দিতে পারে স্নায়বিক দুর্বলতা। 

তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের রোগী প্রচুর পাই। হেয়ার রিমুভার ক্রিমও ব্যবহার করে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। অনেকের ত্বক ফুলে লাল হয়ে চাকার মতো হয়ে যায়। কারণ প্রোডাক্টটা নিম্নমানের, ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রভাবমুক্ত নয়। সেজন্য বিএসটিআইকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। শুধু রমজান না, সারা বছর ধরেই এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। 

ভেজাল পণ্যে সয়লাব বাজার

প্রসাধনীর বাজার নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, দেশে কসমেটিকস খাতের প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। প্রসাধনী আমদানিকারক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি করে। বাকি ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রসাধনীর বাজার চোরাকারবারি ও নকল পণ্য উৎপাদনকারীদের দখলে। এমনকি আমদানি ও উৎপাদিত প্রসাধনীর ৭০ শতাংশই থাকে মান নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রসাধনী উৎপাদনের কাঁচামালের ৯০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। বিশেষ করে মোট আমদানি করা প্রসাধনী পণ্যের প্রায় ৪১ শতাংশই ভারত থেকে আসে। বিদেশি কসমেটিকস বৈধপথে আমদানির চেয়ে চোরাই পথে লাগেজ পার্টির মাধ্যমেই বেশি আসে দেশে। এ হিসাব বিবেচনা করলে বৈধপথে আমদানি করা ও দেশীয় কিছু উৎপাদন ছাড়া প্রসাধনীর বাজার পুরোটাই কালোবাজারিদের দখলে। 

রাজধানীর ধানমন্ডি, মিরপুর, নিউমার্কেট, ইস্টার্ন মার্কেট, বসুন্ধরায় ঘুরে দেখা যায়Ñ বাজার ভরে গেছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্যে। চকবাজারে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকা ও চীনের বলে বিক্রি করা হচ্ছে। 

নিউমার্কেটে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে সব ধরনের কসমেটিকস আছে। বেশিরভাগ চীন থেকে আসে আর কিছু দেশেই উৎপাদিত হয়। চীনা ও দেশি পণ্যের দামের মধ্যেও পার্থক্য অনেক। নামিদামি প্রতিষ্ঠানের প্রসাধনী নকল হচ্ছে। আবার একটি প্রতিষ্ঠান একটি চালানের অনুমোদন নিয়ে কয়েকটি চালান আনছে অনুমোদন ছাড়া।

এসব নকল পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো। বিশ্বমানের ব্র্যান্ড গার্নিয়ার, লরেল, রেভলন, হেড অ্যান্ড শোল্ডার, লাক্স লোশন, মাস্ক লোশন, অ্যাকুয়া মেরিন লোশন, পেনটিন, নিভিয়া লোশন, ফেড আউট ক্রিম, ডাভ সাবান, ইমপেরিয়াল সাবান, সুগন্ধির মধ্যে হুগো, ফেরারি, পয়জন, রয়েল, হ্যাভক ও কোবরা, অলিভ অয়েল, কিওকারপিন, আমলা, আফটার শেভ লোশন, জনসন, ভ্যাসেলিন হেয়ার টনিক, জিলেট ফোম, প্যানটিন প্রো-ভি ও হারবাল এসেনশিয়াল লোশনের নামে ভেজাল প্রসাধনী বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এসব প্রসাধনীতে রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। এর মধ্যে প্যারাবেন (মিথাইল প্যারাবেন, বিউটেল প্যারাবেন, প্রপেল প্যারাবেন, ইসোবিউটেল প্যারাবেন, ইথাইল প্যারাবেন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায় এই রাসায়নিক), ডাই ইথানল এমিন (ডিইএ), বিএইচএ (বিউটিলেটেড হাইড্রক্সি এনিসল), ওবিএইচটি (বিউটিলেটেড হাইড্রক্সি টলুইন), পলি ইথিলিন গ্লাইকল (পিইজি), সোডিয়াম লিউরেল সালফেট এবং সোডিয়াম লিউরেথ সালফেট উল্লেখযোগ্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যের গায়ে মেয়াদ লেখা থাকলেও সেখানে লেখা থাকেÑ পণ্যের মোড়ক খোলার পর থেকে এক বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে। এ ছাড়া বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো। কিছু পণ্য এসেছে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে। পণ্যের গায়ে বিক্রেতা ইচ্ছেমতো মূল্য লাগিয়েছে।

ধানমন্ডির বেশিরভাগ দোকানে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগই বিক্রয়যোগ্য পণ্য না। অবৈধভাবে পণ্যের গায়ে দাম লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখা যায় অসংখ্য পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালিত কয়েকটি অভিযানে বাজারে আমদানি নিষিদ্ধ, নকল, ভেজাল প্রসাধনী ও স্কিনকেয়ার পণ্য ধরা পড়েছে। এ ধরনের পণ্যের বিক্রি, বিপণন ও বিতরণ রোধে সংস্থাটি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজধানীর হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের শপে সম্প্রতি বিএসটিআই অভিযান চালিয়ে দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক ধরনের পণ্য বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেট না নিয়েই বিক্রি করছে। তা ছাড়া এসব পণ্যের কোনোটিরই আমদানি তথ্য বা ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি শপটি। মিরপুর ১০ নম্বরের শাহ আলী প্লাজায়ও বিএসটিআইয়ের অভিযানে আমদানিনিষিদ্ধ পাকিস্তানি ও ভারতীয় স্কিনকেয়ার ক্রিম বিক্রি, বিতরণ ও বাজারজাতকরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব নিষিদ্ধ স্কিন ক্রিম জব্দ করা হয়েছে। একই দিনে মিরপুরে অপর এক অভিযানে একটি আউটলেটে বিএসটিআইয়ের মান সনদ ও ছাড়পত্রবিহীন বিদেশি কসমেটিকস পাওয়া যায়। এছাড়া বিএসটিআই ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি নামবিহীন কসমেটিকস (শ্যাম্পু) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক বা প্রতিনিধি কাউকে না পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস (শ্যাম্পু) ধ্বংস করা হয়। রমনা এলাকার আনারকলি সুপার মার্কেটে এক অভিযানে সনদবিহীন স্কিন ক্রিম ও হেয়ার অয়েল পাওয়া যায়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অবৈধ মালামাল জব্দ এবং অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, অনেক জায়গায় দেখা গেছে কসমেটিকস চকবাজার থেকে কেনা হয়েছে। লেভেলে লেখা মেড ইন ইউএসএ। দোকানদার বলছেন চীন থেকে এসেছে। কিন্তু এমআরপি চীনা ভাষায় লেখা না, লেখা আছে বাংলায়। দেখা গেছে পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২৪ সালে। কিন্তু তার ওপর আলাদা ট্যাগ দিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান চলবে। আমরা অপরাধীকে ধরব। আবার যেহেতু ঈদ, সে বিষয়টিও মাথায় রাখব। ঈদের কথা মাথায় রেখে আমরা বড় ধরনের অপরাধ না হলে কোনো দোকান বা শপিং মল সিলগালা করছি না। এভাবে অভিযান চলতে থাকলে বাংলাদেশি পণ্য বাংলাদেশের পরিচয়েই বিক্রি হবে। আসছে চাঁদরাত পর্যন্ত সারা দেশেই এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আইনের প্রয়োগ কতটুকু

প্রসাধনী সামগ্রী সরাসরি স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তথা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সরকার ওষুধ আইন-১৯৪০ রদ করে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ প্রণয়ন করে। আইনটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অংশীজনের মতামত নেওয়া হয়। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩-এর ২(৮) ধারায় প্রসাধনীর সংজ্ঞা এবং পঞ্চম অধ্যায়ের ৩১-৩৫ ধারায় প্রসাধনীর উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ, লাইসেন্স, নিবন্ধন এবং বিজ্ঞাপন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে। আইনটিতে নকল-ভেজাল কসমেটিকস উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এরই মধ্যে আইনটি পাস হওয়ার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে আইনের কার্যকর প্রয়োগ লক্ষ করা যায়নি। এমনকি নকল-ভেজাল কসমেটিকস উৎপাদন, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান, গ্রেপ্তার, মামলা বা জরিমানাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়নি। ফলে নকল-ভেজালকারী ও চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। পরিস্থিতি উত্তরণে ওষুধ ও কসমেটিকস আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, রমজানের সময় নকল ও ভেজাল প্রসাধনীর ব্যবসা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। যদিও প্রসাধনীর বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন পাস হয়েছে, তবুও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, শুধু আইন থাকলেই হবে না, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের দেশে সব সময়ই নকল প্রসাধনীর ব্যবহার হয়, এবং এসব পণ্য বেশিরভাগই কেনেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ। তারা সরল বিশ্বাসে দেশের পণ্য কিনে বিপদে পড়েন, তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে এসব নকল পণ্য কেনেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পেছনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু লোকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএসটিআই অভিযান করে, কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় তেমন উদ্যোগ নেয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই জানে কোথায় নকল প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে। তবুও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? নিশ্চয়ই এখানে কারও না কারও স্বার্থ জড়িত আছে।

ড. তৌহিদুল হক বলেন, দেশে পণ্য উৎপাদন বাড়ানো দরকার, কিন্তু নকল ও আসল পণ্য চেনার উপায় না থাকায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। নকল পণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের কোনো নজির নেই। যথাযথ আইন প্রয়োগ করে আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা